গতকাল ৩০ জুলাই প্রকাশিত আসামের নাগরিক পন্জী তে নাম নেই আসাম বিধানসভারই ডেপুটি স্পিকার দিলীপ কুমার পালের স্ত্রী অর্চনা পালের। বাদ গেছে মরিগাঁও-এর বিজেপি বিধায়ক রমাকান্ত দেউড়ির নামও। যেসব হিন্দু বাঙালি (ঘটি এবং বাঙাল) এখনও "হিন্দী-হিন্দু-হিন্দুস্তানের" নেশায় বুঁদ হয়ে কপালে গেরুয়া ফেট্টি বেঁধে বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা বজরং দলের মিছিলে গলা ফাটাচ্ছেন, এই তথ্যদুটি এঁদের জন্য একটি শিক্ষা। ধর্মান্ধ, জাতি বিদ্বেষী সংঘ পরিবার চরিত্রগত ভাবে বাঙালি বিদ্বেষী, কারণ তারা জাতিগত ভাবে উত্তর ভারতের বর্ণহিন্দুদের প্রতিনিধি। একবছর আগে ন্যাশানাল হেরাল্ড পত্রিকার এক সাংবাদিক "স্বয়মসেবক সেজে" রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ডেরায় ঢুকে সংঘের বাঙালি বিদ্বেষী চরিত্র উন্মোচন করেছিলেন। আসাম বিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য তাঁর "ভাষা রাজনীতিঃ আসামে বিপন্ন বাঙালি" প্রবন্ধে লিখেছেন "আর্যাবর্তের ধর্মান্ধজনেরা বৈদিক আর্যদের সম্প্রসারণের যুগ থেকেই 'সদানীরা' নদীর পূর্বপ্রান্তিকজনদের 'বহায়সি' বলেছে। পখির মতো কিচিরমিচির করা অর্থাৎ অবোধ্য ভাষায় কথা বলা লোকদের আর্যরা ঘৃণা করে এসেছে। এই এলাকাই প্রত্ন বাংলা যা পরবর্তীকালে অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, সুগ্ন, গৌড় ইত্যাদি নানা নামে অভিহিত হয়েছে। আর্যাবর্তের পশ্চাৎপর জনগোষ্ঠী কোনোদিনই তুলনামূলকভাবে আলোকিত প্রাচ্যদেশীয় জনদের সহ্য করতে পারেনি। ক্রমে তা 'মছলিখোর' বাঙালির প্রতি নিরাময় অযোগ্য ঘৃণা ও বিদ্বেষে রূপান্তরিত হয়েছে। ঐ পুন্জীভূত অসূয়া, বিদ্বেষ ও ঘৃণা থেকে উদ্ভূত সাম্প্রতিক রাজনৈতিক শক্তি সহ শতাব্দী পরম্পরাকে মান্যতা দিয়েই বাঙালি নির্মূলিকরণের প্রধান হোতা।" তপোধীরবাবুর কথার সত্যতা প্রমাণিত হয় যখন দেখি বিশিষ্ট গায়ক প্রয়াত কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের ভ্রাতুষ্পুত্রী পরমা ভট্টাচার্যের নামও বাদ গেছে নাগরিক পন্জী থেকে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন। বিশিষ্ট গায়ক সুমিতা ভট্টাচার্য, পদার্থবিদ্যার শিক্ষিকা শান্তা ভট্টাচার্য ঠাঁই পাননি নাগরিক পন্জী তে। এ যেন ১৯৭১ এ খানসেনা আর রাজাকার দের বাঙালি বুদ্ধিজীবী নিধনের এক সামাজিক রূপ। বাঙালি, হিন্দু হোক বা মুসলিম, হাজার দেশভক্তি দেখিয়েও ধর্মান্ধ সংঘ পরিবারের কাছে "ভারতীয়" বা "স্বদেশী" হতে পারবে না। যেমন ৩০ বছর ভারতীয় সেনাবাহিনী তে কাজ করেও নিজের নামটি নাগরিক পন্জি তে দেখতে পাচ্ছেন না আসমবাসী মহম্মদ আজমল হক। তবে এটা ভেবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই যে শুধুমাত্র উচ্চ শিক্ষিত বিশিষ্ট জনেরাই বাদ পড়েছেন। জাতীয় নাগরিক পন্জি থেকে বাদ পড়া বেশিরভাগ বাঙালি শ্রমজীবী শ্রেণীর।
আসাম কখনওই শুধুমাত্র অসমিয়া দের নয়, কারণ আসাম কোনো ভাষাভিত্তিক বা জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র নয়, ভৌগলিক ও ঐতিহাসিক ভাবে। ১৮৭৪ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি থেকে কাছাড়, সিলেট ও গোয়ালপাড়া জেলাকে বিচ্ছিন্ন করে আসামের সঙ্গে জুড়ে দেয় শাসক ইংরেজরা, ফলে ওখানকার বাঙালিরা ১০০ শতাংশ ভূমিপুত্র। ১৯১১ এ বঙ্গভঙ্গ বাতিলের আনন্দে বাংলার রাজনৈতিক নেতারা সেই নির্বাসিত ভূখণ্ডের বাঙালির কথা বেমালুম ভুলে গেলেন! প্রাচীন যুগেও কাছাড়ের পূর্বপ্রান্তে ভুবন পাহাড়ে বাংলার পাল-সেন যুগের সমকালের বাঙালি শিল্পী দের তৈরী ভাস্কর্যের নিদর্শন মেলে। তারও তিন-চারশ বছর আগে পূর্ব শ্রীহট্টে প্রাপ্ত নিধনপুর তাম্রশাসন তদানীন্তন করিমগন্জ মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় কোনো না কোনো বাঙালি জনপদের ঐতিহাসিক অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়। মধ্যযুগীয় ভারতীয় সংস্কৃত পুরাণ ও স্মৃতিশাস্ত্রে বরাক উপত্যকায় বাঙালি জনপদগুলির ইশারা পাওয়া যায়। সুতরাং, বাঙালি মাত্রই বাংলাদেশী, আসাম শুধু অসমিয়া দের, আসাম-শাসক শ্রেণী ও সংঘ পরিবারের এই নীতি স্বৈরশাসক হিটলার-গোয়েবলসের ইহুদী ও কমিউনিস্ট নিধনকে মান্যতা দেওয়ার জন্য ঘৃণ্য প্রচারের সমগোত্রীয়। চল্লিশ বছরের লাগাতার প্রচেষ্টায় অসমিয়া ভাষিক আধিপত্যবাদীরা সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার, আমলাতন্ত্র, বিচার ব্যবস্থার একাংশ সহ তথাকথিত সর্বভারতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে এই ভ্রান্ত ধারণা বদ্ধমূল করে দেয় যে গোটা আসাম আজ বাংলাদেশিদের দখলে। এবং বাংলার বাইরে বসবাসকারী সমস্ত বাঙালিই বাংলাদেশি! এইজন্যই কয়েকবছর আগে রাজধানীর কাছে একটি শ্রমজীবী বাঙালি বস্তি মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর এক উচ্চবিত্ত শ্রেণীর অবাঙালী মহিলা টেলিভিশনের সামনে সদর্পে ঘোষণা করেছিলেন "ওরা সবাই বাঙলাদেশি", অথচ বস্তিবাসী প্রত্যেকেই ছিল বৈধ ভারতীয়! লাভ-জিহাদের মিথ্যে অভিযোগে যখন বাঙালি আফরাজুল খানকে পুড়িয়ে মারছিল ধর্মান্ধ, জাতিবিদ্বেষী শম্ভুলাল রেগা, তখন তার মাথায় খুনের কারণ হিসেবে কাজ করছিল আফরাজুলের মুসলিম পরিচয়ের সাথে তার বাঙালি পরিচয়টিও। ২০১৪ সালে ভারতে মৌলিক পালাবদল ঘটিয়ে সংঘ পরিবার সরাসরি শাসন ক্ষমতায় এসে বাঙালি জাতির কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতা শুরু করেছে। জাতীয় নাগরিক পন্জি থেকে বাদ পড়া ৪০,০৭,৭০৭ জনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বাঙালিরা আজ বুঝেছে সংঘ-শাসিত হিন্দুস্থানে বাঙালি হয়ে জন্মানো এক অপরাধ।
বাঙালি আজ গভীর বিপদে। আসাম সরকার বলছে বাদ পড়া বাঙালিদের ডিটেনশন শিবিরে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্ন নেই। অথচ আসাম রাজ্যে ৬টি ডিটেনশন শিবির আছে, বন্দি প্রায় ৯০০। গোয়ালপাড়ায় ৪৬কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫০০ জনকে ধরে রাখার মত ডিটেনশন শিবির তৈরি হচ্ছে।
তাই আজ প্রতিবাদে নামতে হবে, ঠিক যেমন ১৯৬১ এর ১৯ মে শিলচর স্টেশনে বাংলাভাষার মর্যাদা রক্ষার্থে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল বরাক উপত্যকার ১১টি তাজা সাহসী প্রাণ। আজ সেই বরাকের বাঙালিকে লড়তে হবে নাগরিত্ব বাঁচাতে। বরাক উপত্যকার প্রায় ৪ লক্ষ নাগরিক বাদ পড়েছে এন আর সি থেকে, যার সিংহভাগ বাঙালি।
লড়তে হবে বাংলা, ত্রিপুরা সহ সমস্ত রাজ্যের অধিবাসী বাঙালিদেরও। নইলে, একদিন হয়তো তারা ঘুম থেকে উঠে দেখবে, তারা হঠাৎ "বাংলাদেশী" অথবা "বিপজ্জনক ভোটার" বলে ঘোষিত হয়েছে! এরাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি আজ তীব্র প্রতিবাদ জানালেও এতদিন তারা সেরকম ভাবে পথে নামেনি, কি বাম কি ডান। কেউ কেউ একে বিজেপির "ভোটরাজনীতি" বলে লঘু করে দিচ্ছেন। এটা যে সংঘ পরিবারের সুপরিকল্পিত বাঙালি বিদ্বেষ, সে কথা আজ স্পষ্ট ভাবে বলতে হবে। "সর্বভারতীয় বাংলাভাষা মঞ্চ", "ভাষা ও চেতনা সমিতির" মত সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন ধরে এই লড়াই চালাচ্ছে, সঙ্গে আছে নবগঠিত "বাংলা পক্ষ"ও। আজ সময় এসেছে এদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার, সঙ্গে চাই গণতান্ত্রিক শক্তিগুলিকেও। নইলে গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে আরও বেশি বেশি করে বাঙালি বিতাড়ন ও নিধন চলতে থাকবে।
জয় বাংলা!
(ঋণ স্বীকার - আনন্দবাজার পত্রিকা, আজকাল, এই সময় ও ঐকতান গবেষণা পত্র)
আসাম কখনওই শুধুমাত্র অসমিয়া দের নয়, কারণ আসাম কোনো ভাষাভিত্তিক বা জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র নয়, ভৌগলিক ও ঐতিহাসিক ভাবে। ১৮৭৪ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি থেকে কাছাড়, সিলেট ও গোয়ালপাড়া জেলাকে বিচ্ছিন্ন করে আসামের সঙ্গে জুড়ে দেয় শাসক ইংরেজরা, ফলে ওখানকার বাঙালিরা ১০০ শতাংশ ভূমিপুত্র। ১৯১১ এ বঙ্গভঙ্গ বাতিলের আনন্দে বাংলার রাজনৈতিক নেতারা সেই নির্বাসিত ভূখণ্ডের বাঙালির কথা বেমালুম ভুলে গেলেন! প্রাচীন যুগেও কাছাড়ের পূর্বপ্রান্তে ভুবন পাহাড়ে বাংলার পাল-সেন যুগের সমকালের বাঙালি শিল্পী দের তৈরী ভাস্কর্যের নিদর্শন মেলে। তারও তিন-চারশ বছর আগে পূর্ব শ্রীহট্টে প্রাপ্ত নিধনপুর তাম্রশাসন তদানীন্তন করিমগন্জ মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় কোনো না কোনো বাঙালি জনপদের ঐতিহাসিক অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়। মধ্যযুগীয় ভারতীয় সংস্কৃত পুরাণ ও স্মৃতিশাস্ত্রে বরাক উপত্যকায় বাঙালি জনপদগুলির ইশারা পাওয়া যায়। সুতরাং, বাঙালি মাত্রই বাংলাদেশী, আসাম শুধু অসমিয়া দের, আসাম-শাসক শ্রেণী ও সংঘ পরিবারের এই নীতি স্বৈরশাসক হিটলার-গোয়েবলসের ইহুদী ও কমিউনিস্ট নিধনকে মান্যতা দেওয়ার জন্য ঘৃণ্য প্রচারের সমগোত্রীয়। চল্লিশ বছরের লাগাতার প্রচেষ্টায় অসমিয়া ভাষিক আধিপত্যবাদীরা সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার, আমলাতন্ত্র, বিচার ব্যবস্থার একাংশ সহ তথাকথিত সর্বভারতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে এই ভ্রান্ত ধারণা বদ্ধমূল করে দেয় যে গোটা আসাম আজ বাংলাদেশিদের দখলে। এবং বাংলার বাইরে বসবাসকারী সমস্ত বাঙালিই বাংলাদেশি! এইজন্যই কয়েকবছর আগে রাজধানীর কাছে একটি শ্রমজীবী বাঙালি বস্তি মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর এক উচ্চবিত্ত শ্রেণীর অবাঙালী মহিলা টেলিভিশনের সামনে সদর্পে ঘোষণা করেছিলেন "ওরা সবাই বাঙলাদেশি", অথচ বস্তিবাসী প্রত্যেকেই ছিল বৈধ ভারতীয়! লাভ-জিহাদের মিথ্যে অভিযোগে যখন বাঙালি আফরাজুল খানকে পুড়িয়ে মারছিল ধর্মান্ধ, জাতিবিদ্বেষী শম্ভুলাল রেগা, তখন তার মাথায় খুনের কারণ হিসেবে কাজ করছিল আফরাজুলের মুসলিম পরিচয়ের সাথে তার বাঙালি পরিচয়টিও। ২০১৪ সালে ভারতে মৌলিক পালাবদল ঘটিয়ে সংঘ পরিবার সরাসরি শাসন ক্ষমতায় এসে বাঙালি জাতির কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতা শুরু করেছে। জাতীয় নাগরিক পন্জি থেকে বাদ পড়া ৪০,০৭,৭০৭ জনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বাঙালিরা আজ বুঝেছে সংঘ-শাসিত হিন্দুস্থানে বাঙালি হয়ে জন্মানো এক অপরাধ।
বাঙালি আজ গভীর বিপদে। আসাম সরকার বলছে বাদ পড়া বাঙালিদের ডিটেনশন শিবিরে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্ন নেই। অথচ আসাম রাজ্যে ৬টি ডিটেনশন শিবির আছে, বন্দি প্রায় ৯০০। গোয়ালপাড়ায় ৪৬কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫০০ জনকে ধরে রাখার মত ডিটেনশন শিবির তৈরি হচ্ছে।
তাই আজ প্রতিবাদে নামতে হবে, ঠিক যেমন ১৯৬১ এর ১৯ মে শিলচর স্টেশনে বাংলাভাষার মর্যাদা রক্ষার্থে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল বরাক উপত্যকার ১১টি তাজা সাহসী প্রাণ। আজ সেই বরাকের বাঙালিকে লড়তে হবে নাগরিত্ব বাঁচাতে। বরাক উপত্যকার প্রায় ৪ লক্ষ নাগরিক বাদ পড়েছে এন আর সি থেকে, যার সিংহভাগ বাঙালি।
লড়তে হবে বাংলা, ত্রিপুরা সহ সমস্ত রাজ্যের অধিবাসী বাঙালিদেরও। নইলে, একদিন হয়তো তারা ঘুম থেকে উঠে দেখবে, তারা হঠাৎ "বাংলাদেশী" অথবা "বিপজ্জনক ভোটার" বলে ঘোষিত হয়েছে! এরাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি আজ তীব্র প্রতিবাদ জানালেও এতদিন তারা সেরকম ভাবে পথে নামেনি, কি বাম কি ডান। কেউ কেউ একে বিজেপির "ভোটরাজনীতি" বলে লঘু করে দিচ্ছেন। এটা যে সংঘ পরিবারের সুপরিকল্পিত বাঙালি বিদ্বেষ, সে কথা আজ স্পষ্ট ভাবে বলতে হবে। "সর্বভারতীয় বাংলাভাষা মঞ্চ", "ভাষা ও চেতনা সমিতির" মত সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন ধরে এই লড়াই চালাচ্ছে, সঙ্গে আছে নবগঠিত "বাংলা পক্ষ"ও। আজ সময় এসেছে এদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার, সঙ্গে চাই গণতান্ত্রিক শক্তিগুলিকেও। নইলে গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে আরও বেশি বেশি করে বাঙালি বিতাড়ন ও নিধন চলতে থাকবে।
জয় বাংলা!
(ঋণ স্বীকার - আনন্দবাজার পত্রিকা, আজকাল, এই সময় ও ঐকতান গবেষণা পত্র)