Tuesday, July 31, 2018

জয় বাংলা

গতকাল ৩০ জুলাই প্রকাশিত আসামের নাগরিক পন্জী তে নাম নেই আসাম বিধানসভারই ডেপুটি স্পিকার দিলীপ কুমার পালের স্ত্রী অর্চনা পালের। বাদ গেছে মরিগাঁও-এর বিজেপি বিধায়ক রমাকান্ত দেউড়ির নামও। যেসব হিন্দু বাঙালি (ঘটি এবং বাঙাল) এখনও "হিন্দী-হিন্দু-হিন্দুস্তানের" নেশায় বুঁদ হয়ে কপালে গেরুয়া ফেট্টি বেঁধে বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা বজরং দলের মিছিলে গলা ফাটাচ্ছেন, এই তথ্যদুটি এঁদের জন্য একটি শিক্ষা। ধর্মান্ধ, জাতি বিদ্বেষী সংঘ পরিবার চরিত্রগত ভাবে বাঙালি বিদ্বেষী, কারণ তারা জাতিগত ভাবে উত্তর ভারতের বর্ণহিন্দুদের প্রতিনিধি। একবছর আগে ন্যাশানাল হেরাল্ড পত্রিকার এক সাংবাদিক "স্বয়মসেবক সেজে" রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ডেরায় ঢুকে সংঘের বাঙালি বিদ্বেষী চরিত্র উন্মোচন করেছিলেন। আসাম বিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য তাঁর "ভাষা রাজনীতিঃ আসামে বিপন্ন বাঙালি" প্রবন্ধে লিখেছেন "আর্যাবর্তের ধর্মান্ধজনেরা বৈদিক আর্যদের সম্প্রসারণের যুগ থেকেই 'সদানীরা' নদীর পূর্বপ্রান্তিকজনদের 'বহায়সি' বলেছে। পখির মতো কিচিরমিচির করা অর্থাৎ অবোধ্য ভাষায় কথা বলা লোকদের আর্যরা ঘৃণা করে এসেছে। এই এলাকাই প্রত্ন বাংলা যা পরবর্তীকালে অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, সুগ্ন, গৌড় ইত্যাদি নানা নামে অভিহিত হয়েছে। আর্যাবর্তের পশ্চাৎপর জনগোষ্ঠী কোনোদিনই তুলনামূলকভাবে আলোকিত প্রাচ্যদেশীয় জনদের সহ্য করতে পারেনি। ক্রমে তা 'মছলিখোর' বাঙালির প্রতি নিরাময় অযোগ্য ঘৃণা ও বিদ্বেষে রূপান্তরিত হয়েছে। ঐ পুন্জীভূত অসূয়া, বিদ্বেষ ও ঘৃণা থেকে উদ্ভূত সাম্প্রতিক রাজনৈতিক  শক্তি সহ শতাব্দী পরম্পরাকে মান্যতা দিয়েই বাঙালি নির্মূলিকরণের প্রধান হোতা।" তপোধীরবাবুর কথার সত্যতা প্রমাণিত হয় যখন দেখি বিশিষ্ট গায়ক প্রয়াত কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের ভ্রাতুষ্পুত্রী পরমা ভট্টাচার্যের নামও বাদ গেছে নাগরিক পন্জী থেকে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন। বিশিষ্ট গায়ক সুমিতা ভট্টাচার্য, পদার্থবিদ্যার শিক্ষিকা শান্তা ভট্টাচার্য ঠাঁই পাননি নাগরিক পন্জী তে। এ যেন ১৯৭১ এ খানসেনা আর রাজাকার দের বাঙালি বুদ্ধিজীবী নিধনের এক সামাজিক রূপ। বাঙালি, হিন্দু হোক বা মুসলিম, হাজার দেশভক্তি দেখিয়েও ধর্মান্ধ সংঘ পরিবারের কাছে "ভারতীয়" বা "স্বদেশী" হতে পারবে না। যেমন ৩০ বছর ভারতীয় সেনাবাহিনী তে কাজ করেও নিজের নামটি নাগরিক পন্জি তে দেখতে পাচ্ছেন না আসমবাসী মহম্মদ আজমল হক। তবে এটা ভেবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই যে শুধুমাত্র উচ্চ শিক্ষিত বিশিষ্ট জনেরাই বাদ পড়েছেন। জাতীয় নাগরিক পন্জি থেকে বাদ পড়া বেশিরভাগ বাঙালি শ্রমজীবী শ্রেণীর।
আসাম কখনওই শুধুমাত্র অসমিয়া দের নয়, কারণ আসাম কোনো ভাষাভিত্তিক বা জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র নয়, ভৌগলিক ও ঐতিহাসিক ভাবে। ১৮৭৪ সালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি থেকে কাছাড়, সিলেট ও গোয়ালপাড়া জেলাকে বিচ্ছিন্ন করে আসামের সঙ্গে জুড়ে দেয় শাসক ইংরেজরা, ফলে ওখানকার বাঙালিরা ১০০ শতাংশ ভূমিপুত্র। ১৯১১ এ বঙ্গভঙ্গ বাতিলের আনন্দে বাংলার রাজনৈতিক নেতারা সেই নির্বাসিত ভূখণ্ডের বাঙালির কথা বেমালুম ভুলে গেলেন!  প্রাচীন যুগেও কাছাড়ের পূর্বপ্রান্তে ভুবন পাহাড়ে বাংলার পাল-সেন যুগের সমকালের বাঙালি শিল্পী দের তৈরী ভাস্কর্যের নিদর্শন মেলে। তারও তিন-চারশ বছর আগে পূর্ব শ্রীহট্টে প্রাপ্ত নিধনপুর তাম্রশাসন তদানীন্তন করিমগন্জ মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় কোনো না কোনো বাঙালি জনপদের ঐতিহাসিক অস্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়। মধ্যযুগীয় ভারতীয় সংস্কৃত পুরাণ ও স্মৃতিশাস্ত্রে বরাক উপত্যকায় বাঙালি জনপদগুলির ইশারা পাওয়া যায়। সুতরাং, বাঙালি মাত্রই বাংলাদেশী, আসাম শুধু অসমিয়া দের, আসাম-শাসক শ্রেণী ও সংঘ পরিবারের এই নীতি স্বৈরশাসক হিটলার-গোয়েবলসের ইহুদী ও কমিউনিস্ট নিধনকে মান্যতা দেওয়ার জন্য ঘৃণ্য প্রচারের সমগোত্রীয়। চল্লিশ বছরের লাগাতার প্রচেষ্টায় অসমিয়া ভাষিক আধিপত্যবাদীরা সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার, আমলাতন্ত্র, বিচার ব্যবস্থার একাংশ সহ তথাকথিত সর্বভারতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে এই ভ্রান্ত ধারণা বদ্ধমূল করে দেয় যে গোটা আসাম আজ বাংলাদেশিদের দখলে। এবং বাংলার বাইরে বসবাসকারী সমস্ত বাঙালিই বাংলাদেশি! এইজন্যই কয়েকবছর আগে রাজধানীর কাছে একটি শ্রমজীবী বাঙালি বস্তি মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর এক উচ্চবিত্ত শ্রেণীর অবাঙালী মহিলা টেলিভিশনের সামনে সদর্পে ঘোষণা করেছিলেন "ওরা সবাই বাঙলাদেশি", অথচ বস্তিবাসী প্রত্যেকেই ছিল বৈধ ভারতীয়! লাভ-জিহাদের মিথ্যে অভিযোগে যখন বাঙালি আফরাজুল খানকে পুড়িয়ে মারছিল ধর্মান্ধ, জাতিবিদ্বেষী শম্ভুলাল রেগা, তখন তার মাথায় খুনের কারণ হিসেবে কাজ করছিল আফরাজুলের মুসলিম পরিচয়ের সাথে তার বাঙালি পরিচয়টিও। ২০১৪ সালে ভারতে মৌলিক পালাবদল ঘটিয়ে সংঘ পরিবার সরাসরি শাসন ক্ষমতায় এসে বাঙালি জাতির কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতা শুরু করেছে। জাতীয় নাগরিক পন্জি থেকে বাদ পড়া ৪০,০৭,৭০৭ জনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বাঙালিরা আজ বুঝেছে সংঘ-শাসিত হিন্দুস্থানে বাঙালি হয়ে জন্মানো এক অপরাধ।
বাঙালি আজ গভীর বিপদে। আসাম সরকার বলছে বাদ পড়া বাঙালিদের ডিটেনশন শিবিরে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্ন নেই। অথচ আসাম রাজ্যে ৬টি ডিটেনশন শিবির আছে, বন্দি প্রায় ৯০০। গোয়ালপাড়ায় ৪৬কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫০০ জনকে ধরে রাখার মত ডিটেনশন শিবির তৈরি হচ্ছে।
তাই আজ প্রতিবাদে নামতে হবে, ঠিক যেমন ১৯৬১ এর ১৯ মে শিলচর স্টেশনে বাংলাভাষার মর্যাদা রক্ষার্থে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল বরাক উপত্যকার  ১১টি তাজা সাহসী প্রাণ। আজ সেই বরাকের বাঙালিকে লড়তে হবে নাগরিত্ব বাঁচাতে। বরাক উপত্যকার প্রায় ৪ লক্ষ নাগরিক বাদ পড়েছে এন আর সি থেকে, যার সিংহভাগ বাঙালি।
লড়তে হবে বাংলা, ত্রিপুরা সহ সমস্ত রাজ্যের অধিবাসী বাঙালিদেরও। নইলে, একদিন হয়তো তারা ঘুম থেকে উঠে দেখবে, তারা হঠাৎ "বাংলাদেশী" অথবা "বিপজ্জনক ভোটার" বলে ঘোষিত হয়েছে! এরাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি আজ তীব্র প্রতিবাদ জানালেও এতদিন তারা সেরকম ভাবে পথে নামেনি, কি বাম কি ডান। কেউ কেউ একে বিজেপির "ভোটরাজনীতি" বলে লঘু করে দিচ্ছেন। এটা যে সংঘ পরিবারের সুপরিকল্পিত বাঙালি বিদ্বেষ, সে কথা আজ স্পষ্ট ভাবে বলতে হবে। "সর্বভারতীয় বাংলাভাষা মঞ্চ",  "ভাষা ও চেতনা সমিতির" মত সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন ধরে এই লড়াই চালাচ্ছে, সঙ্গে আছে নবগঠিত "বাংলা পক্ষ"ও। আজ সময় এসেছে এদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার, সঙ্গে চাই গণতান্ত্রিক শক্তিগুলিকেও। নইলে গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে আরও বেশি বেশি করে বাঙালি বিতাড়ন ও নিধন চলতে থাকবে।
জয় বাংলা!
(ঋণ স্বীকার - আনন্দবাজার পত্রিকা, আজকাল, এই সময় ও ঐকতান গবেষণা পত্র)

Friday, June 22, 2018

USA- the enemy of the humanity!

The United States government is ripping terrified children from the arms of their parents. Fascist Donald Trump has actually torn babies from the breasts of their mothers. They are putting some of these children in cells so cold they are nicknamed “the icebox.” They are putting others in massive camps. I can imagine the trauma and the terror of the child, the anguish and pain of the parent. And of course, the Trump regime justifies this with references to the Bible. United States commits crimes against humanity slamming into place a Christian fascist theocracy. This is part of a whole fascist offensive against immigrants. This regime has demonised and slandered them, terrorised and arrested them, brutalised and deported them. And this offensive in turn is the linchpin and battering ram of this whole fascist offensive. 
         But the attack on children is nothing new for America. Nor is it only happening on the border. The wealth of America was founded on the kidnapping of millions of people from Africa, many of them children and infants, and the lifelong enslavement of these children. As America grew richer, the selling of enslaved Black children away from their parents became a major feature, a typical scene, of the “American way of life.” Today, no one can imagine the horror and the heartbreak for those forced into such scenes, decade after decade, stamped on the psyches of human beings for generations. There’s more. After America stole nearly every last piece of land from the Native people, after America had slaughtered or killed through disease the vast majority of those who lived here before the European invasion, the U.S. government sent many of the children of the survivors to “boarding schools. These boarding schools, actually prisons or concentration camps would be better words, stripped the children of their names, their language, and their very sense of self. Today the U.S. system of mass incarceration imprisons tens of thousands of children each year, some locked up with adults. Nor is this attack something the U.S. only does at home. In the Vietnam War, they were not heroes but baby killers. In war after war, from Korea to Iraq, they have been part of a machine that killed the children of those they attacked, whether as “collateral damage” or with sick intention. In Yemen, at least 5,000 children have been murdered by U.S.-supplied planes and bombs, flown by America’s Saudi Arabian proxies, but re-fuelled in the air by the U.S. Air Force. More than eight million people in Yemen, the vast majority of who are children, are now at risk of starvation due to this U.S.-supported war. And this very weekend the Saudis and their allies are undertaking an offensive that will put many at even greater risk, an offensive that the U.S. refuses to condemn and in fact supports behind the scenes. 
         A poet once compared America to the biblical god Moloch, who demanded the sacrifice of children. But this system is no mythical god from a lost age, it is the all too real system of capitalism-imperialism, and it consumes children all over this planet, every single day. Juan Sanchez is the CEO of Southwest Key, a private contractor the Trump administration is paying 458 million dollars to operate immigrant child detention centres. The contractor is detaining separated children at dozen facilities across Texas, including an old Walmart store and decrepit warehouse. This is the real face of United States of America. This regime of terror and repression must be overthrown to save our children.

Tuesday, January 20, 2015

Major international media houses such as BBC, CNN, CBS are calling the attack on French Magazine Charlie Hebdo "the worst terrorist attack in Europe". This propaganda is a part of sham conspiracy to make people forget the massacre of Norway in 2011 in which far-right ultra-orthodox Christian terrorist Anders Breivik killed 67 civilians. These mouthpieces of the imperialists want us to forget that more journalists were killed during US-led invasion and occupation of Iraq than in any war in history, mostly by targeted killings, such as the US bombing of Al Jazeera(a reputed media house in Arab world) offices. Last year, Israel assassinated 17 local and international journalists in GAZA city while leading a barbaric attack on Palestinian people killing 2143 of them, including women, children and infants and branded them all as "Hamas terrorists"! I ask my friends, do these hypocrite media houses and western powers have any moral right to talk about "Freedom of expression" or "free speech"? I'm not supporting the attack on "Charlie Hebdo", this hypocrites are to be exposed.

Monday, January 12, 2015

 I’d like to say something about one of the “world leaders” who walk for a “Solidarity March” in Paris yesterday.  The leader I am talking about is Benjamin Netanyahu, head of the state of Israel, which regularly butchers innocent Palestinian civilians in the name of "self defense" attended the "solidarity rally" in Paris! What should we call it? A joke? A fascist and Zionist with sectarian world view, a man who thinks every Palestinian man, woman and children is Hamas terrorist, walks for "solidarity rally"! Where was his sense of "solidarity" when Israel soldiers kills journalists of Palestine? Israel, like ISIS, BOKO-HARAM, and al-Quida, is a habitual offender of Freedom of Expression, human rights and right to life of people. Recently Israel killed a Palestinian Statesman, but no country in the civilised "west" marched for solidarity like they are doing now. Netanyahu offered French Jews to settle in Israel for "security"! What a sense of solidarity and brotherhood this Zionist hypocrite possesses! Save the Jews only and kill others! I wonder why Mahmood Abbas agreed to join with him in the so-called "solidarity march"? Like al-Quida and ISIS, Israel is suppressing the voice of the people and killing innocent civilians. We should be careful about the enemies of the humanity.  

Thursday, December 18, 2014

Taliban butchered 132 children in the name of "Jihad". I strongly condemn this ghastly act. Taliban is a product of CIA and the hypocritical western powers are also in the act of condemnation and blaming! Their crocodile tears make me laugh. We are no fool, Mr Obama and Mr Cameron. You killed many more Pakistani children by “Drone Strike” in the name of war on terror and termed it collateral damage. Only this year Israel, armed with weapons supplied by you, killed 396 children in Gaza and you supported that act and termed it as “self-defense”. Where was your humanity then? You created Taliban that killed those hapless children and you’re saying you feel for those parents and relatives! Hypocrisy should have a limit. I also request people like Malala Yousufzai to speak up against this kind of hypocritical western powers which created Taliban, Al-qaida, and IS.

Sunday, February 2, 2014

Horrifying experience at Kolkata Book Fair 2014



I visited Kolkata Book Fair on 1st February, 2014, Saturday and had to have a horrifying experience. Since my childhood I have a special sentiment for Book Fair. But this year I’m really disturbed and disappointed with the way the event is being organized. The stalls of some TV channels which telecast cheap & popular entertainment programs like daily soaps or some stupid reality shows are really become nuisances. These channels are organizing stupid talk shows and cheap music contests in very loud volume in their stalls inside the fairground which are causing noise pollution and destroying the atmosphere of Book Fair. This type of substandard, sub-cultured and distasteful things like quiz contest on Bengali TV-serials or “Antakshari” or dance contest don’t go with the flavor of the booklovers like me who have passion for books for serious thoughts.  The stalls of entertainment TV channels like Star-Jalsa and others are really killing the true spirit of Book Fair. I visited Stall No. 371B that is of “International Publication” to meet my friends there, but cannot talk to or hear a single word as a quiz show on Bengali Daily soaps was going on in a very high volume from the “Star-Jalsa” stall which was making very loud noise. That experience was very appalling and I was wondering what the hell this entertainment TV channels were doing in Book Fair. My friends said they lodged complaints to the Book Fair organizers but there has been no response from their end. People are just coming to Book Fair to visit this stalls of the channels for some cheap entertainment and then go to the food park to have biriyanis and chow-meins and go home. Thus the real spirit Book Fair is being constantly undermined and ruined. I request the Publishers and Booksellers Guild no to allow these channels inside the Book Fair if they at all want to retain it as a “Book-Fair”. Otherwise the “Kolkata Boi –Mela” should be renamed as “TV Channel Mela” or “Biriyani-Mela”!

Sunday, December 8, 2013

MALALA AND NABILA



Unlike now-famous Malala Yousafzai, the name of Nabila Rehman, another Pakistani young girl who along with her father Rafiq and 13 years old brother Zubair, travelled from her North Waziristan village to appear before members of Congress and urge the US to end its drone attacks, haven’t found any place in the pages of any mainstream media. On October 24, 2012 a Predator drone flying over North Waziristan came upon eight-year-old Nabila Rehman, her siblings, and their grandmother as they worked in a field beside their village home. Her grandmother, Momina Bibi, was teaching the children how to pick okra as the family prepared for the coming Eid holiday. However on this day the terrible event would occur that would forever alter the course of this family's life. In the sky the children suddenly heard the distinctive buzzing sound emitted by the CIA-operated drones - a familiar sound to those in the rural Pakistani villages which are stalked by them 24 hours a day - followed by two loud clicks. The unmanned aircraft released its deadly payload onto the Rehman family, and in an instant the lives of these children were transformed into a nightmare of pain, confusion and terror. Seven children were wounded, and Nabila's grandmother was killed before her eyes, an act for which no apology, explanation or justification has ever been given. This past week Nabila, her schoolteacher father, and her 12-year-old brother traveled to Washington DC to tell their story and to seek answers about the events of that day. However, despite overcoming incredible obstacles in order to travel from their remote village to the United States, Nabila and her family were roundly ignored. At the congressional hearing where they gave testimony, only five out of 430 representatives showed up. In the words of Nabila's father to those few who did attend: "My daughter does not have the face of a terrorist and neither did my mother. It just doesn't make sense to me, why this happened… as a teacher, I wanted to educate Americans and let them know my children have been injured." The translator broke down in tears while recounting their story. But the United States made it a point to snub this family and ignore the tragedy it had caused to them. Nabila, a slight girl of nine with striking hazel eyes, asked a simple question in her testimony: "What did my grandmother do wrong?" There was no one to answer this question, and few who cared to even listen. Symbolic of the utter contempt in which the government holds the people it claims to be liberating, while the Rehmans recounted their plight, Barack Obama was spending the same time meeting with the CEO of weapons manufacturer Lockheed Martin. It is useful to contrast the American response to Nabila Rehman with that of Malala Yousafzai, a young girl who was nearly assassinated by the Pakistani Taliban. While Malala was feted by Western media figures, politicians and civic leaders for her heroism, Nabila has become simply another one of the millions of nameless, faceless people who have had their lives destroyed over the past decade of American wars. The reason for this glaring discrepancy is obvious. Since Malala was a victim of the Taliban, she, despite her protestations, was seen as a potential tool of political propaganda to be utilized by war advocates. She could be used as the human face of their effort, a symbol of the purported decency of their cause, the type of little girl on behalf of whom the United States and its allies can say they have been unleashing such incredible bloodshed. Tellingly, many of those who took up her name and image as a symbol of the justness of American military action in the Muslim world did not even care enough to listen to her own words or feelings about the subject. Western fawning over Malala has become less about her efforts to improve conditions for girls in Pakistan, or certainly about the struggles of millions of girls in Pakistan, and more about our own desire to make ourselves feel warm and fuzzy with a celebrity and an easy message. It's a way of letting ourselves off the hook, convincing ourselves that it's simple matter of good guys vs bad guys, that we're on the right side and that everything is okay. But where does Nabila fit into this picture? If extrajudicial killings, drone strikes and torture are in fact all part of a just-cause associated with the liberation of the people of Pakistan, Afghanistan and elsewhere, where is the sympathy or even simple recognition for the devastation this war has caused to countless little girls such as her? The answer is clear: The only people to be recognized for their suffering in this conflict are those who fall victim to the enemy. Malala for her struggles was to be made the face of the American war effort -  against her own will if necessary - while innumerable little girls such as Nabila will continue to be terrorized and murdered as part of this war without end. There will be no celebrity appearances or awards ceremonies for Nabila. At her testimony almost no one even bothered to attend. But if they had attended, they would've heard a nine-year-old girl asking the questions which millions of other innocent people who have had their lives thrown into chaos over the past decade have been asking: "When I hear that they are going after people who have done wrong to America, then what have I done wrong to them? What did my grandmother do wrong to them? I didn't do anything wrong." Zubair recounted how he was hit by shrapnel in his leg — an injury that would take expensive laser surgeries to heal — while Nabila looked down to see her hand bleeding. "I tried to bandage my hand but the blood wouldn't stop," she said. "The blood kept coming." Momina Bibi's wounds were so severe that neighbours would not allow her sons to see the body, said Rafiq, a primary-school teacher in Pakistan who was away in town when the attack happened. Rafiq said the newspapers reported that fighters had been killed in the strike. As far as he knows, his mother’s was the death. The Rehman family also participated in an Amnesty International report about casualties of drones. According to the London-based Bureau of Investigative Journalism, 376 total strikes have taken place in Pakistan, killing up to 926 civilians and as many as 200 children. In 2009, the first year of Obama’s administration, there were 51 reported drone bombings in Pakistan—there were 45 during the entire GeorgeW. Bush administration. Obama’s use of drones has increased since. Obama has unleashed 284 drone attacks on Pakistan alone. Between 2,532 and 3,251 people have been killed by drone bombings in Pakistan since 2004, most of them in the Obama years. At least 175 of them have been children. In June 2011, Obama ordered the U.S. to extend its drone bomb attacks to include Somalia. Since 2002, there have been hundreds of drone strikes in Afghanistan, Pakistan, Yemen, Somalia, and perhaps other countries. Thousands have been killed. So I want the readers of this blog to be aware of the stories of children like Nabila and Zubair, who unlike Malala Yousafzai, were and still being attacked, not by the Taliban or al-Qaeda, but by the United States of America.

RUDRA SEN